জানা কথা ভাই, আপনি লেখাটা পড়ার আগেই চমকে গেছেন। মনে মনে ভাবছেন, অনেক রিলেশনের কথাই তো শুনছি মাগার এইরকম "ডিপার্টমেন্টাল-ননডিপার্টমেন্টাল" নামক উদ্ভট কিছু তো আগে শুনি নাই। তো আপনাকেই বলছি স্যার, লেখাটা মনো+ আই মিন মনযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে দেখবেন কতগুলো বানানো সহজ এমন রিলেশন আপনি মিস করছেন। তার আগে বলি, আমার সাপেক্ষে যারা ননডিপার্টমেন্টাল আই মিন যারা সি.এস.ই ডি.ইউ তে পড়েন না তাদের সব রিলেশন বুঝতে হয়ত একটু কষ্ট হবে। কিন্তু কষ্ট হইলেও পড়েন, আশা করছি মজা পাবেন।
প্রথমে সহজ সাভাবিক কিছু রিলেশন দিয়ে যে শুরু করব তার কোন উপায় নাই ভাই। উদাহরন দেখবেন ? ওকে শুরু করি, খালা আমাদের সবার খালা হয় শুধু একজন বাদে। কি চমকে গেলেন না ? হা হা হা ... জানা কথা। আচ্ছা খুলেই বলি তাহলে ব্যাপারটা, আমাদের তখন মাত্র ক্লাশ শুরু হইছে ডিপার্টমেন্টে আই মিন আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের কথা আরকি। হুমায়ারা তাসনিম প্রিয়াঙ্কা কে ধরে মেয়ে CR(ছি আর - Class Representative) বানায়ে দেওয়া হইছে। আর সাদ তো ছেলেদের CR আগে থেকেই। তো সাদই মনে হয় প্রিয়াঙ্কাকে প্রথম খালা খালা বলা শুরু করছিল। সেই থেকে শুরু। উঠতে বসতে খালা খালা করতে আমাদের এই ভাল মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সুন্দর নামটি আজকে বিলীনের পথে। তার থেকেও প্রকট সমস্যা হয় আসলে আমাদের। ধরেন কেউ একজন তার নিজের খালার কোন কথা আমাদের সামনে বলছে। আমরা একটু পরে বুঝি যে এই খালা আমাদের খালা নয়। যাই হোক, খালাকে নিয়ে প্যাঁচাল শেষ করার আগে উপরের একটা কথা এক্সপ্লেইন করি। খালা আমাদের সবার খালা একজন বাদে ... কথা ঠিকই তো আছে, খালা তো খালুর খালা হয় না তাই না ? খালুর হয় "এই"। :P
খালার পরেই যে রিলেশনে নিজেকে জড়িয়েছিলাম সেটা হল "জানু"/"ডিপার্টমেন্টাল জানু", আর পিঙ্কি হল সেই ভাগ্যবতী মেয়ে(!!!)। পিঙ্কিকে কেন এই "জানু" "জানু" করতাম ঠিক মনে নেই। কিন্তু এই ব্যাপারে একটা স্মৃতি মনে আছে। একদিন ক্লাশে আমি শুভর সামনে পিঙ্কিকে জানু জানু বলে খেপানোর ট্রাই করছি। আর পিঙ্কিও জানু জানু বলে আমার দেয়া "সিগনাল গুলো" ব্যাক করছিল। তো তখন আবির ছিল আমাদের সাথে(যা ভাবছেন তাই ... এই আবির সেই তুখড় মেধাবী ছেলে আবির)। আবিরের ক্লাশে প্রধান কাজ ছিল চোখ বন্ধ করে থাকা। ঘুমোত না ... জাষ্ট চোখ বন্ধ করে থাকত। তো ওই দিনও সে ওইরকম অবস্থায় আছে, চোখ বন্ধ। আর ওই দিকে আমি জানু জানু বলে পিঙ্কির সাথে ফাজলামী করছি। আবির চোখটা খুলে বলল, বাহ একজন জানু জানু করছে আর আরেকজন সেটার রিপলাই করছে। কি অদ্ভুত!! সাম্প্রতিক তথ্য, আমি পিঙ্কিকে জানু বলা ছেড়ে দিয়েছি। কেন জানি এখন আর বলা হয় না ... আর ও নিজেও বলে না। তবে যাই হোক, পিঙ্কি জেনে রাখিস যে জানুর আসনে তোকে বসিয়েছিলাম, সেখানে তুই সব সময় থাকবি( =)) =)) =)) )।
তৃষাকে ডাকি "শ্যালিকা"। এই শ্যালিকা ডাকার কারনটা অনেকেই জানে না আমাদের ক্লাশের। আসল ঘটনাটার শুরু হয়েছিল ফার্ষ্ট ইয়ারের হার্ডওয়ার ল্যাবে। একদিন ল্যাবে আমি আর শুভ বসে আছি। সাথে খালা, ম্যাড, মামনি, পিঙ্কি এরা(ম্যাড, মামনি আসলে ওদের নাম না ... কিন্তু এইগুলি ডাকতে ডাকতে অভ্যাস হয়ে গেছে)। তো শুভ পিঙ্কির কাছে পানি চাইল, কিন্তু পিঙ্কির ব্যাগে পানি ছিল না। ছিল তৃষার কাছে। আমিও একই সময় পানি চাইলাম। কিন্তু তৃষা পানি দিল শুভকে। তখনি প্রথম বলছিলাম, হু বুঝছিতো ... দুলাভাই(শুভ)রেই তো দিবা। এখানে এইটা বলার কারন, তৃষা আর পিঙ্কি একি কলেজ় থেকে আসছিল। সেই থেকে শুরু। তৃষা হয়ে গেল আমার "ডিপার্টমেন্টাল শ্যালিকা" !!
ডিপার্টমেন্টে আমার একটা মামাও আছে। সাদ হল সেই মামা। সাদই আমাদেরকে ক্লাশে একজন খালা দিয়েছিল। অনেকটা সেই কারনেই তাকে মামা বানায়ে খালা-মামা কোঠা পুরন করলাম।
এর পরেই আসে, "ডিপার্টমেন্টাল প্রেমিকা"। এতক্ষন পড়ে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমার জন্য রিলেশন ক্রিয়েট করাটা কতটা ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। আসলে ডাল-ভাত হলেও আমি এই রিলেশনে বেশ সিরিয়াস ছিলাম (=)) =)) =)) )। কি রকম জানেন ? আমি ডিপার্টমেন্টের সবাইকে বলে বেড়াতাম এই হচ্ছে আমার "ডিপার্টমেন্টাল জিএফ"। ছোট বড় সবাই জানত ব্যাপারটা(=)) =)) =)) )। ওহহ, আসলে বলাই তো হয় নাই যে কোন ভাগ্যবতী নারী ছিল আমার এই জিএফ। মাদিহা তাবাসসুম ওরফে ম্যাড ছিলেন সেই বিখ্যাত নারী। এখানে একটা ব্যাপার, আমি "ছিল" কথাটা বলছি এই কারনে যে ... সম্প্রতি এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে সে অন্যের হয়ে গেছে[ :( :( :( ]। মনে আছে, একদিন ম্যাড আমাকে জিজ্ঞাস করছে - "আচ্ছা তুই কি থার্টিনের সবাইকে বলে বেড়াচ্ছিস যে আমি তোর জিএফ ?" আমার উত্তর, "অবশ্যই ... কেন নয় ? আমি তোকে পাব না, অন্য কাউকেও তোকে পেতে দিব না !!" সর্বশেষ ব্যাপার, যেহেতু আমার "ডিপার্টমেন্টাল প্রেমিকা" অপশনটি খালি ... আগ্রহী কেউ থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনারা বলতে পারেন খালা আছে ... খালু নাই ? জী জী খালুও আছেন। আশরাফ হচ্ছেন আমাদের সেই খালু। আমার মনে হয় এই রিলেশনের ইতিহাস আপনাদের কে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আসলে ইনার খালু হওয়ার ইতিহাস যদি বলতেই হয়, তাহলে অন্য পোষ্টে বলতে হবে। অনেক বিরাট ইতিহাস এটি। সর্বশেষ তথ্য, খালুকে সব জায়গায় এখন আর খালু বলা যাচ্ছে না। কিছু সমস্যা হচ্ছে। ফলাফল সরূপ সে কাল সাদের বাসায় বসে অন্য একটি খেতাব পেয়েছেন। "আঙ্কেল অ্যাশ" ... আশা করি খালুকে মাঝে মাঝে এই নামেও ডাকা হবে এখন থেকে।
ডিপার্টমেন্টে আমার একটি মেয়েও আছে !! মা ছাড়া মেয়ে আমার। নাজিয়া আলম নায়লা(ওরফে মুড়ির ঠোঙ্গা) হল সে। এই মেয়ে সব কিছু কম কম বুঝে। ধরেন আপনি একটা মজার কথা বললেন, সবাই হেসে গড়াগড়ি খেয়ে মাত্র উঠল। এরপর নায়লা জিজ্ঞেস করবে, এই তোরা হাসতেছিস কেন ? আরো ব্যাপার আছে। ধরেন সবাই মিলে গেলেন "শর্মা হাউজে" খেতে। নায়লাও গেল সবার সাথে। সে ওখানের কিছু খাবেন না! সে যাবে "হট কেক"এ। ওখান থেকে একখানা চকলেট কেন এনে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাবেন। চকলেটও পছন্দ করে বাচ্চদের মত এই ময়েটি। সব মিলিয়ে সে হয়ে গেল সবার আদরের "মামনি"!! সাম্প্রতিক তথ্য, আমি আমার মেয়ের জন্য একখানা জামাই খুজঁছি। আর কি কিছু বলা লাগবে ? সেরকম কারো সন্ধান থাকলে জানাবেন !!
অনেক রিলেশন বললাম। এতক্ষনে বিরক্ত না হলেও এখন আরো বলতে গেলে নিশ্চিত ভাবে বিরক্ত হবেন। তাই ওই দিকে আর না আগাই। তারপরও কিছু ছোট ছোট রিলেশন(দূর্বল রিলেশন) আছে। যেমন রবিউল হল "কাকা", মেরী "বড় বউ", দিবা "ছোট বউ", সাদিয়া জানি কি হয়(কিছু একটা হয় আরকি), "পিক সামওয়ান অফ ইওর ওউন সাইজ" টাইপের জানি কে একজন আছে(!!) ... এই ধরনের আরো কিছু ছোট ছোট রিলেশন নিয়েই আমার ডিপার্টমেন্টাল জীবন।
একেবারে শেষে বলতে চাই, উপরের সবাইকে হয়ত মজা করে অনেক কিছু ডাকি। কিন্তু আমরা সবাই খুব ভাল বন্ধু। আই লাভ ইউ আলল ...
ভাল থাকবেন।
প্রথমে সহজ সাভাবিক কিছু রিলেশন দিয়ে যে শুরু করব তার কোন উপায় নাই ভাই। উদাহরন দেখবেন ? ওকে শুরু করি, খালা আমাদের সবার খালা হয় শুধু একজন বাদে। কি চমকে গেলেন না ? হা হা হা ... জানা কথা। আচ্ছা খুলেই বলি তাহলে ব্যাপারটা, আমাদের তখন মাত্র ক্লাশ শুরু হইছে ডিপার্টমেন্টে আই মিন আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের কথা আরকি। হুমায়ারা তাসনিম প্রিয়াঙ্কা কে ধরে মেয়ে CR(ছি আর - Class Representative) বানায়ে দেওয়া হইছে। আর সাদ তো ছেলেদের CR আগে থেকেই। তো সাদই মনে হয় প্রিয়াঙ্কাকে প্রথম খালা খালা বলা শুরু করছিল। সেই থেকে শুরু। উঠতে বসতে খালা খালা করতে আমাদের এই ভাল মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সুন্দর নামটি আজকে বিলীনের পথে। তার থেকেও প্রকট সমস্যা হয় আসলে আমাদের। ধরেন কেউ একজন তার নিজের খালার কোন কথা আমাদের সামনে বলছে। আমরা একটু পরে বুঝি যে এই খালা আমাদের খালা নয়। যাই হোক, খালাকে নিয়ে প্যাঁচাল শেষ করার আগে উপরের একটা কথা এক্সপ্লেইন করি। খালা আমাদের সবার খালা একজন বাদে ... কথা ঠিকই তো আছে, খালা তো খালুর খালা হয় না তাই না ? খালুর হয় "এই"। :P
খালার পরেই যে রিলেশনে নিজেকে জড়িয়েছিলাম সেটা হল "জানু"/"ডিপার্টমেন্টাল জানু", আর পিঙ্কি হল সেই ভাগ্যবতী মেয়ে(!!!)। পিঙ্কিকে কেন এই "জানু" "জানু" করতাম ঠিক মনে নেই। কিন্তু এই ব্যাপারে একটা স্মৃতি মনে আছে। একদিন ক্লাশে আমি শুভর সামনে পিঙ্কিকে জানু জানু বলে খেপানোর ট্রাই করছি। আর পিঙ্কিও জানু জানু বলে আমার দেয়া "সিগনাল গুলো" ব্যাক করছিল। তো তখন আবির ছিল আমাদের সাথে(যা ভাবছেন তাই ... এই আবির সেই তুখড় মেধাবী ছেলে আবির)। আবিরের ক্লাশে প্রধান কাজ ছিল চোখ বন্ধ করে থাকা। ঘুমোত না ... জাষ্ট চোখ বন্ধ করে থাকত। তো ওই দিনও সে ওইরকম অবস্থায় আছে, চোখ বন্ধ। আর ওই দিকে আমি জানু জানু বলে পিঙ্কির সাথে ফাজলামী করছি। আবির চোখটা খুলে বলল, বাহ একজন জানু জানু করছে আর আরেকজন সেটার রিপলাই করছে। কি অদ্ভুত!! সাম্প্রতিক তথ্য, আমি পিঙ্কিকে জানু বলা ছেড়ে দিয়েছি। কেন জানি এখন আর বলা হয় না ... আর ও নিজেও বলে না। তবে যাই হোক, পিঙ্কি জেনে রাখিস যে জানুর আসনে তোকে বসিয়েছিলাম, সেখানে তুই সব সময় থাকবি( =)) =)) =)) )।
তৃষাকে ডাকি "শ্যালিকা"। এই শ্যালিকা ডাকার কারনটা অনেকেই জানে না আমাদের ক্লাশের। আসল ঘটনাটার শুরু হয়েছিল ফার্ষ্ট ইয়ারের হার্ডওয়ার ল্যাবে। একদিন ল্যাবে আমি আর শুভ বসে আছি। সাথে খালা, ম্যাড, মামনি, পিঙ্কি এরা(ম্যাড, মামনি আসলে ওদের নাম না ... কিন্তু এইগুলি ডাকতে ডাকতে অভ্যাস হয়ে গেছে)। তো শুভ পিঙ্কির কাছে পানি চাইল, কিন্তু পিঙ্কির ব্যাগে পানি ছিল না। ছিল তৃষার কাছে। আমিও একই সময় পানি চাইলাম। কিন্তু তৃষা পানি দিল শুভকে। তখনি প্রথম বলছিলাম, হু বুঝছিতো ... দুলাভাই(শুভ)রেই তো দিবা। এখানে এইটা বলার কারন, তৃষা আর পিঙ্কি একি কলেজ় থেকে আসছিল। সেই থেকে শুরু। তৃষা হয়ে গেল আমার "ডিপার্টমেন্টাল শ্যালিকা" !!
ডিপার্টমেন্টে আমার একটা মামাও আছে। সাদ হল সেই মামা। সাদই আমাদেরকে ক্লাশে একজন খালা দিয়েছিল। অনেকটা সেই কারনেই তাকে মামা বানায়ে খালা-মামা কোঠা পুরন করলাম।
এর পরেই আসে, "ডিপার্টমেন্টাল প্রেমিকা"। এতক্ষন পড়ে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমার জন্য রিলেশন ক্রিয়েট করাটা কতটা ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। আসলে ডাল-ভাত হলেও আমি এই রিলেশনে বেশ সিরিয়াস ছিলাম (=)) =)) =)) )। কি রকম জানেন ? আমি ডিপার্টমেন্টের সবাইকে বলে বেড়াতাম এই হচ্ছে আমার "ডিপার্টমেন্টাল জিএফ"। ছোট বড় সবাই জানত ব্যাপারটা(=)) =)) =)) )। ওহহ, আসলে বলাই তো হয় নাই যে কোন ভাগ্যবতী নারী ছিল আমার এই জিএফ। মাদিহা তাবাসসুম ওরফে ম্যাড ছিলেন সেই বিখ্যাত নারী। এখানে একটা ব্যাপার, আমি "ছিল" কথাটা বলছি এই কারনে যে ... সম্প্রতি এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে সে অন্যের হয়ে গেছে[ :( :( :( ]। মনে আছে, একদিন ম্যাড আমাকে জিজ্ঞাস করছে - "আচ্ছা তুই কি থার্টিনের সবাইকে বলে বেড়াচ্ছিস যে আমি তোর জিএফ ?" আমার উত্তর, "অবশ্যই ... কেন নয় ? আমি তোকে পাব না, অন্য কাউকেও তোকে পেতে দিব না !!" সর্বশেষ ব্যাপার, যেহেতু আমার "ডিপার্টমেন্টাল প্রেমিকা" অপশনটি খালি ... আগ্রহী কেউ থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনারা বলতে পারেন খালা আছে ... খালু নাই ? জী জী খালুও আছেন। আশরাফ হচ্ছেন আমাদের সেই খালু। আমার মনে হয় এই রিলেশনের ইতিহাস আপনাদের কে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আসলে ইনার খালু হওয়ার ইতিহাস যদি বলতেই হয়, তাহলে অন্য পোষ্টে বলতে হবে। অনেক বিরাট ইতিহাস এটি। সর্বশেষ তথ্য, খালুকে সব জায়গায় এখন আর খালু বলা যাচ্ছে না। কিছু সমস্যা হচ্ছে। ফলাফল সরূপ সে কাল সাদের বাসায় বসে অন্য একটি খেতাব পেয়েছেন। "আঙ্কেল অ্যাশ" ... আশা করি খালুকে মাঝে মাঝে এই নামেও ডাকা হবে এখন থেকে।
ডিপার্টমেন্টে আমার একটি মেয়েও আছে !! মা ছাড়া মেয়ে আমার। নাজিয়া আলম নায়লা(ওরফে মুড়ির ঠোঙ্গা) হল সে। এই মেয়ে সব কিছু কম কম বুঝে। ধরেন আপনি একটা মজার কথা বললেন, সবাই হেসে গড়াগড়ি খেয়ে মাত্র উঠল। এরপর নায়লা জিজ্ঞেস করবে, এই তোরা হাসতেছিস কেন ? আরো ব্যাপার আছে। ধরেন সবাই মিলে গেলেন "শর্মা হাউজে" খেতে। নায়লাও গেল সবার সাথে। সে ওখানের কিছু খাবেন না! সে যাবে "হট কেক"এ। ওখান থেকে একখানা চকলেট কেন এনে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাবেন। চকলেটও পছন্দ করে বাচ্চদের মত এই ময়েটি। সব মিলিয়ে সে হয়ে গেল সবার আদরের "মামনি"!! সাম্প্রতিক তথ্য, আমি আমার মেয়ের জন্য একখানা জামাই খুজঁছি। আর কি কিছু বলা লাগবে ? সেরকম কারো সন্ধান থাকলে জানাবেন !!
অনেক রিলেশন বললাম। এতক্ষনে বিরক্ত না হলেও এখন আরো বলতে গেলে নিশ্চিত ভাবে বিরক্ত হবেন। তাই ওই দিকে আর না আগাই। তারপরও কিছু ছোট ছোট রিলেশন(দূর্বল রিলেশন) আছে। যেমন রবিউল হল "কাকা", মেরী "বড় বউ", দিবা "ছোট বউ", সাদিয়া জানি কি হয়(কিছু একটা হয় আরকি), "পিক সামওয়ান অফ ইওর ওউন সাইজ" টাইপের জানি কে একজন আছে(!!) ... এই ধরনের আরো কিছু ছোট ছোট রিলেশন নিয়েই আমার ডিপার্টমেন্টাল জীবন।
একেবারে শেষে বলতে চাই, উপরের সবাইকে হয়ত মজা করে অনেক কিছু ডাকি। কিন্তু আমরা সবাই খুব ভাল বন্ধু। আই লাভ ইউ আলল ...
ভাল থাকবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন