আমার ব্লগিং এর ধারনা একদম নতুন নয়। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবকেই দেখি ব্লগিং করতে। আমিও কিছুটা উৎসাহী ছিলাম এই ব্যাপারে। কিন্তু আমি যে পরিমান অলস ... তাই এত এত লেট হল শুরু করতে। প্রথমে প্রথম কথা বলে নেই। আমার যেহেতু লেখালেখির অভ্যাস সেই অর্থে নেই ... বলা উচিত একদমই নেই(ছোট বেলায় অনেক ট্রাই করছি ডাইরী লিখতে ... কখনোই হয়নি যেটা করা। আমি একটা ডাইরী কিনতাম, লিখতাম প্রথম দুই পাতা, ব্যাস শেষ !! কত ডায়রীর যে এরকম ধংশ হয়েছে ... আমি সঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না।) । এদিক থেকে বলা যায়, এই লেখালেখি শুরু করার (অবশ্যই অনেক উৎসাহের সাথে) অভ্যাস অনেক পুরানো।
এই পোষ্টের শিরোনাম এবং আমার ব্লগের শিরনাম একি। এটা মনে হয় একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। "আমার আমি" কথাটা কোন ভাবেই মৌলিক না ... কথাটার তাৎপর্য আসলে অনেক। এখন অতশত না বলে এটুকুন বলি, আমার এই পোষ্টে আমি আমার কথাই লিখব। আমার অতীত, বর্তমান এইসব ... আর ভবিষৎ এর কথা এখনই বলতে পারছি না।
আমার পুরো নাম আবদুল্লাহ আল রকিবুল ইসলাম। মাশাল্লাহ অনেক বড় নাম। জীবনে যতবার কোন ফর্ম ফিলাপ করছি, ততবার আমার এই নামের চোদ্দ গুসটি উদ্ধার করছি। আমার এই নামটাই কিন্তু একদম জন্মের সময় রাখা হয়নি। প্রথমে আমার নাম রাখা হয়েছিল আবদুল্লাহ আল মামুন। সাথে ডাক নাম রকিব। রকিব নামটা রাখা হয়েছে আম্মার নামের অদ্যাক্ষর মিলিয়ে। তো আমি যখন ক্লাশ টুতে পড়ি, তখন আব্বা অনেক শখ করে আমার নামের মামুন শব্দটা কেটে রকিবুল ইসলাম বসায়। হয়ত আব্বা মনে মনে খানিকটা ঈর্সান্বীত হয়ে এটা করছে। আই মিন, আমার নামের মধ্যে তার নামের অংশ অ্যাড হয়েছে এর মাধ্যমে।
আমি বড় হয়েছি পটুয়াখালীতে। ওখানেরই একটা স্কুল থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসেছি। এর পর নটরডেম থেকে ইন্টার ... শেষে ডিউতে সি এস ই তে। মাঝে অবশ্য ডিউরই ম্যাথ ডিপার্টমেন্টে ছিলাম এক বছর।
আমার আমিতে আসলে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য আসলে আমাকে নিজেকে আমি কিছু সময় দিব। নিজের অতীত স্মৃতি রোমন্থোন করব। এইতো। নিজে নানান কাজে ব্যাস্ত থাকি। অনেক সময় আশে পাশের মানুষ দূরে থাক, নিজেকেই ঠিক মত সময় দিই না ... তাই নিজের জন্য কিছু সময় বের করার প্রয়াস বলা যেতে পারে এই লেখালেখিকে।
আবার ব্লগিং এর শুরুর কথায় ফিরে যাই, আমার অনেক ফ্রেন্ড ব্লগিং করে আগেই একবার বলেছি। ওদের ব্লগিং মুলত প্রগ্রামিং কন্টেষ্ট রিলেটেড। আমার ব্লগিংও ওদের মত ওই রিলেটেড হওয়ার কথা ছিল। পরে ভেবে দেখলাম, কি লাভ সব কিছুতে কন্টেষ্ট টেনে এনে। কন্টেষ্টের জন্য এমনিতেই অনেক সময় দিই। বরং ওইখান থেকে কিছুটা রিলিজ পাওয়ার মত না হয় একটা জায়গা করি। এই ব্যাপারে আমার বন্ধু মিশুকের একটা মন্তব্য খুব কাজে দিয়েছিল। ও বলছিল "কন্টেষ্টের ব্লগ করে কি করবি ? ওইগুলোর জন্য কি ব্লগের অভাব পরছে ? বরং তুই যা লিখবি, দেখবি ঐ ব্যাপারে তোর থেকে ভাল লেখা অলরেডী নেটে আছে ... এর থেকে তুই তোর ফিলসফি নিয়ে লিখ, তোর চিন্তা গুলো তাতে লিখ। এটা অনেক ভাল হয় না ?" ওর কথাটা খুব মনে ধরছিল তখন।
আমার লেখালেখির ব্যাপারে একটা কথা বলা ভাল। আমার লেখা খুব খুব খুবই ছন্নছাড়া টাইপের। এই এখন এক ব্যাপারে হয়ত লিখছি। কিছুক্ষন পরেই হয়ত প্রসঙ চেঞ্জ। আরেকটা ব্যাপার হল আমার লেখার ভাষা। অনেক কষ্টে এখানে ভাল ভাল শুদ্ধ ভাষায় লিখছি। এর পর হয়ত আমি যে ভাষায় সচ্ছন্দ বোধ করব সেটা ইউজ করব। সর্বশেষ ব্যাপার হল, আমার খুবই পছন্দের লেখক হলেন হূমাউন আহমেদ আর জাফর ইকবাল স্যার। আমার লেখায় উনাদের প্রভাব থাকার সমভাবনা তাই প্রবল।
শেষ করার আগে আমার বন্ধু পায়েলকে ধন্যবাদ দিব ব্লগিং শুরু করতে ওর ইন্সপারেশনের জন্য। ওর ইন্সপারেশান না থাকলে হয়ত অনেক কাজই করা হতনা। থ্যাঙ্কস দোস্ত।
ভাল থাকবেন।
এই পোষ্টের শিরোনাম এবং আমার ব্লগের শিরনাম একি। এটা মনে হয় একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। "আমার আমি" কথাটা কোন ভাবেই মৌলিক না ... কথাটার তাৎপর্য আসলে অনেক। এখন অতশত না বলে এটুকুন বলি, আমার এই পোষ্টে আমি আমার কথাই লিখব। আমার অতীত, বর্তমান এইসব ... আর ভবিষৎ এর কথা এখনই বলতে পারছি না।
আমার পুরো নাম আবদুল্লাহ আল রকিবুল ইসলাম। মাশাল্লাহ অনেক বড় নাম। জীবনে যতবার কোন ফর্ম ফিলাপ করছি, ততবার আমার এই নামের চোদ্দ গুসটি উদ্ধার করছি। আমার এই নামটাই কিন্তু একদম জন্মের সময় রাখা হয়নি। প্রথমে আমার নাম রাখা হয়েছিল আবদুল্লাহ আল মামুন। সাথে ডাক নাম রকিব। রকিব নামটা রাখা হয়েছে আম্মার নামের অদ্যাক্ষর মিলিয়ে। তো আমি যখন ক্লাশ টুতে পড়ি, তখন আব্বা অনেক শখ করে আমার নামের মামুন শব্দটা কেটে রকিবুল ইসলাম বসায়। হয়ত আব্বা মনে মনে খানিকটা ঈর্সান্বীত হয়ে এটা করছে। আই মিন, আমার নামের মধ্যে তার নামের অংশ অ্যাড হয়েছে এর মাধ্যমে।
আমি বড় হয়েছি পটুয়াখালীতে। ওখানেরই একটা স্কুল থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসেছি। এর পর নটরডেম থেকে ইন্টার ... শেষে ডিউতে সি এস ই তে। মাঝে অবশ্য ডিউরই ম্যাথ ডিপার্টমেন্টে ছিলাম এক বছর।
আমার আমিতে আসলে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য আসলে আমাকে নিজেকে আমি কিছু সময় দিব। নিজের অতীত স্মৃতি রোমন্থোন করব। এইতো। নিজে নানান কাজে ব্যাস্ত থাকি। অনেক সময় আশে পাশের মানুষ দূরে থাক, নিজেকেই ঠিক মত সময় দিই না ... তাই নিজের জন্য কিছু সময় বের করার প্রয়াস বলা যেতে পারে এই লেখালেখিকে।
আবার ব্লগিং এর শুরুর কথায় ফিরে যাই, আমার অনেক ফ্রেন্ড ব্লগিং করে আগেই একবার বলেছি। ওদের ব্লগিং মুলত প্রগ্রামিং কন্টেষ্ট রিলেটেড। আমার ব্লগিংও ওদের মত ওই রিলেটেড হওয়ার কথা ছিল। পরে ভেবে দেখলাম, কি লাভ সব কিছুতে কন্টেষ্ট টেনে এনে। কন্টেষ্টের জন্য এমনিতেই অনেক সময় দিই। বরং ওইখান থেকে কিছুটা রিলিজ পাওয়ার মত না হয় একটা জায়গা করি। এই ব্যাপারে আমার বন্ধু মিশুকের একটা মন্তব্য খুব কাজে দিয়েছিল। ও বলছিল "কন্টেষ্টের ব্লগ করে কি করবি ? ওইগুলোর জন্য কি ব্লগের অভাব পরছে ? বরং তুই যা লিখবি, দেখবি ঐ ব্যাপারে তোর থেকে ভাল লেখা অলরেডী নেটে আছে ... এর থেকে তুই তোর ফিলসফি নিয়ে লিখ, তোর চিন্তা গুলো তাতে লিখ। এটা অনেক ভাল হয় না ?" ওর কথাটা খুব মনে ধরছিল তখন।
আমার লেখালেখির ব্যাপারে একটা কথা বলা ভাল। আমার লেখা খুব খুব খুবই ছন্নছাড়া টাইপের। এই এখন এক ব্যাপারে হয়ত লিখছি। কিছুক্ষন পরেই হয়ত প্রসঙ চেঞ্জ। আরেকটা ব্যাপার হল আমার লেখার ভাষা। অনেক কষ্টে এখানে ভাল ভাল শুদ্ধ ভাষায় লিখছি। এর পর হয়ত আমি যে ভাষায় সচ্ছন্দ বোধ করব সেটা ইউজ করব। সর্বশেষ ব্যাপার হল, আমার খুবই পছন্দের লেখক হলেন হূমাউন আহমেদ আর জাফর ইকবাল স্যার। আমার লেখায় উনাদের প্রভাব থাকার সমভাবনা তাই প্রবল।
শেষ করার আগে আমার বন্ধু পায়েলকে ধন্যবাদ দিব ব্লগিং শুরু করতে ওর ইন্সপারেশনের জন্য। ওর ইন্সপারেশান না থাকলে হয়ত অনেক কাজই করা হতনা। থ্যাঙ্কস দোস্ত।
ভাল থাকবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন