মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

নিখোঁজ বিমানের জন্য

কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী বিমানের হারিয়ে যাওয়াটা আমার বাস্তব জীবনে দেখা বড় মাপের ক্লাইমেক্সগুলির মধ্যে একটা হয়ে থাকবে। কেন নয় বলুন ? কিছু ইন্টারেষ্টিং পয়েন্ট এরকম হতে পারে,

১. ওই বিমানটিতে দুই জন ভুয়া পাসপোর্টধারী ব্যাক্তি ছিলেন, যেই পাসপোর্ট দুইটি বছরখানিক আগে হারিয়ে গিয়েছিল থাইল্যান্ড থেকে। এই ভুয়া পাসপোর্টধারী ব্যাক্তি আবার প্রায় একই সময়ে পাশাপাশি দুইটি সিটের টিকেট কেটেছিলেন।
২. বিমানটি যখন থেকে রাডার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তখন বিমানটি মাটি থেকে প্রায় ৩৫হাজার মিটার উপরে ছিল ... কোন দুর্ঘটনায় পরলে সেটি কোন বিমানবন্দরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছিল।
৩. বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার মুহুর্তে এটি তার যাত্রা পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল।
৪. ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে উড়োজাহাজকে পুরোপুরি রাডার থেকে গায়েব করে দেয়া যায়। আর হারিয়ে যাওয়া মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটিতে এই প্রযুক্তি নিয়ে সরাসরি কাজ করছেন এমন ২০ জন যাত্রী ছিলেন।

ঘটনার পিছনে যদি আসলেই কোন ঘটনা ঘটে থাকে, আমাদের মত সাধারন মানুষের সেটা হয়ত কখনোই জানা হবে না। হয়ত MI6 বা CIA এর মত বড় বড় এসপিওনাজ এজেন্সীর ঘাগু গোয়েন্দারা এটার সাথে জড়িত। বা কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সম্পৃক্ততা থাকতেই বারে। হয়ত যা ভাবছি তার কিছুই হয়নি ... কোন কারনে বিমানটি হয়ত ক্রাশ করেছে। এমন যায়গায় ধ্বংসাবশেষ পরেছে, যেটা হয়ত উদ্ধারকারী দল খুঁজে পাচ্ছে না। হয়তবা এই রহস্যের কোন কিনারাই হবে না কখনো। ১০/১২ বছর পরে এই ঘটনা নিয়ে হয়ত সুপার ক্রাইম-থ্রিলার টাইপের কোন মুভি বানাবে কেউ ... আমরা হয়ত কোন একটা ছুটির দিনের অলস বিকেলে সেটা দেখে শিহরিত হব।

কিন্তু এই অনেক "হয়ত"র মধ্যে আমি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না। হারিয়ে যাওয়া এই বিমানের যাত্রীদের পরিবারগুলির কথা ভাবলেই মন খারাপ হচ্ছে। অনিশ্চয়তা একটা খারাপ অবস্থা। একটা মানুষ হারিয়ে যাওয়া আর মরে যাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ... হে বিমান, ফিরে এসো। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন