বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৩

অসমাপ্ত পড়ালেখা

... অনেক অনেক কাল আগে যখন স্কুলে পড়তাম, আব্বা নিয়মিত ভাবে আমার পড়া ধরত। ধরত মানে, হাতে ছাঁই মেখে ধরত। ফলাফল, জীবনে বহুত অপমান (পড়ুন মাইর) নিশ্চুপ ভাবে হজম করতে হইছে। তখন আব্বা বলত, "ওরে গাধা, এখন ভাল কইরা পড়, কলেজে উঠলে কি আর এরকম পড়া আছে নাকি ?" ... পড়া বিষয়ক ব্যপারে মাইর খাইতাম বইলা আবার কেউ মনে কইরেন না আমি ছাত্র খারাপ ছিলাম। স্কুলে রোল মুটামুটি "এক" ই থাকত অধিকাংশ সময়ে ... কোন কারনে না থাকলে, সেটা কোন ভাবেই "তিন" এর বাইরে যাইতো না।

সে যাকগা, এরপরের কথায় আসি। স্কুলের পরে কলেজ লাইফে ঢুকলাম। নটরডেম কলেজে ভর্তি হইছি তখন। খুব আনন্দ আনন্দ ভাব নিয়ে কলেজ শুরু করে আমি বুঝলাম, আমি "ছোট্ট জাহান্নাম" পারি দিয়ে "বড় জাহান্নামে" পরছি। এই ক্লাশ, এই কুইজ, এই ল্যাব ... হায় হুতাশ করতে করতেই কলেজ লাইফ পার করে দিলাম। সে যাই হোক ... মানুষ কিন্তু আমাকে এইদফাও বুঝালো। "ওই যে দেখ, তোর বড় ভাইয়েরা(কাজিন বিশেষ) ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, কি করে তারা ? এই টিউশনী করে, টাকা ইনকাম করে, ঘুড়েফিরে, খায় দায় ... এইটাই হইল ইউনিভার্সিটির লাইফ", সবার মুখে মুখে আমি এটাই শুনে আসছিলাম।

ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হইলাম। এইদফা কি দেখলাম ? "চাইলে পড়ালেখা না করেও থাকা যায়, কিন্তু তাইলে পরে চাকুরী পাইতে কষ্ট হইবে, কিন্তু এখন সামান্য (উহা কোনভাবেই সামান্য ছিল না !!) পড়াশুনা এনে দিতে পারে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ" ... সেই ভবিষ্যৎ এর পিছনে দৌড়ানোর জন্য আমি কি করেছিলাম, এখন ভুলে গেছি। কিন্তু আমি জানি, আমি এই চারটা বছরে কোন দিকে তাকাই নাই। মানুষ যখন নানা ভাবে লাইফকে কম্পেক্স করে গিয়েছে (পড়ুন নানা ভাবে প্রেমে পড়েছে), নানা যায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে, বাবা মায়ের টাকায় (কারো কারো ক্ষেত্রে নিজের টাকায়) নানা যায়গার খাবার খেয়ে রসিয়ে রসিয়ে গল্প করেছে ... তখন আমি চোখ মুখ বন্ধ করে, কোড করে গিয়েছি। আমি আমার সীমাবদ্ধতা খুব ভালমত জানতাম ... সেই সকল সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছি এই সময়টাতে। তবুও যদি ভবিষ্যৎটা মনের মত করা যায়, এই আশাতে।

পড়ালেখা শেষ। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষাও শেষ, চাকুরীতে জয়েনও করে ফেলছি। এখন আমি কি দেখছি ? পড়ার এখনো অনেক কিছু আছে, জানার এখনো অনেক কিছু আছে (আমি অবশ্য কখনোই মনে করি নাই যে আমি সব জেনে ফেলছি) ... সেটাও না হয় মানলাম। সামান্য একটুখানি কোড করতে হলেও এখন মোটা মোটা সব বই পড়তে হয়। থেরাপে জয়েন করার পর থেকে আমি মুটামুটি ৪/৫ টা বই পড়ে ফেলছি (এরমধ্যে পড়া শেষ না হলেও, সামনের কয়েক দিনের মধ্যেই করে ফেলতে হবে) এর মধ্যেই। শুধু কি তাই ? আমি নিজেই বুঝতেছি, সফটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে চাইলে ... আমাকে অনবরত পড়তেই হবে। এই পড়ালেখা হয়ত আসলে সেই অর্থে গতানুগতিক পড়ালেখা নয়, তবে ব্যাপারটা ডাক্তারদের ডাক্তারী পাশ করার পরের পড়াশুনার মতই অনেকটা। আপনাকে প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকতে হলে নিত্য নতুন টেকনোলজীর সাথে নিজেকে ইন্টিগ্রেট করে নিতে হবেই। অনেকটা মেটা-পড়ালেখা, মানে পড়ালেখার পড়ালেখা ! (একটুখানি চান্স পাইলাম, নিজেকে জাহির করে দিলাম যে আমি অনেক কিছু জানি :P কোন শব্দের শুরুতে Meta শব্দটি প্রিফিক্স আকারে থাকার মানে হচ্ছে, ওই প্রধান শব্দটি যেটাকে রিপ্রেজেন্ট করে সেটার একটা অ্যাবস্ট্রাকশন অন্য একটি পার্সপেক্টিভ থেকে। একটা উদাহরন দিলে পরিষ্কার হবে আশা করি। ধরুন, Data শব্দটির অর্থ হল তথ্য। Metadata এর মানে হল, তথ্যের সংক্রান্ত তথ্য। এই ব্যাপারে আরো ডিটেইলস জানতে উইকির পেজটাতে ঢু মারতে পারেন।)

যাই হোক, আগের প্রসঙ্গে আসি। আমি জানতে চাই, এই পড়ালেখার শেষ কোথায়? এর মধ্যে কোনভাবে বাইরে পড়াশুনা করতে যাওয়া লাগলে ... কবে নাগাদ মুক্তি পাব, সেই প্রশ্ন নিজেকে করতেই ভয় হচ্ছে। :( যদি এইই ছিল আমার জীবনে, তাহলে কেন আমাকে মিছামিছি আশা দেখিয়েছিল সেই ছোট্টো বেলায় সবাই ? জাতির বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন থাকলো ! :P

জয় হোক পড়াশুনার। :(

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৩

নত-মস্তকে নৃত্যাগত !



অনেক অনেক আগের কথা। আমদের মাত্র ফার্ষ্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হইছে। এমন সময় ডিপার্টমেন্টের পিকনিকে গেছিলাম বুড়িগঙ্গার বুকে। ছোট-খাট একটা লঞ্চ ভ্রমন টাইপের ব্যাপার, আরকি। পটুয়াখালীতে দেশের বাড়ি আমার। "লঞ্চ ভ্রমন" আমার কাছে পাত্তা পাওয়ার মত কোন ব্যাপার ছিল না। বন্ধু-বান্ধবের প্রবল আগ্রহে গেলাম সেই "রিভার ক্রুজে"।

তো সেই "আনন্দময় নৌ ভ্রমনে" চিত্তবিনোদনের অনেকগুলি অনুষ্ঠান ছিল যার একটা পর্ব ছিল অনেকটা এরকম ... একটা বক্সের অনেক গুলি লেয়ার থাকে, বক্সের মধ্যে বক্স আরকি। একজন এসে তার লেয়ারে যা বলা আছে সেটা পারফর্ম করে দেখাবে। এরপরে বক্সটি কার কাছে যাবে সেটির একটা হিন্ট দেওয়া থাকবে, সেই অনুসারে সে বক্সটা কোন একজনকে পাস করে দিবে। এই সেগমেন্টের একটা পর্যায়ে শ্রদ্ধেয় আহসান রাজা চৌধুরী স্যার আসেন। স্যারের পরে কার কাছে বক্সটি যাবে সেটির হিন্ট ছিল এরকম, "স্যার এমন কাউকে যেন বক্সটি দেয়, যার সাথে স্যারের অনেক মিল আছে।" স্বাস্থ্যগত আকার আকৃতিতে স্যারের সাথে আমার অনেক মিল থাকার কারনে আমাদের ক্লাশের পোলাপাইনরা আমার নাম ধরে কতক্ষন চিল্লালো। তখনও স্যার আমাদেরকে অতটা ভালভাবে চিনতেন না, কারন আমাদের ফার্ষ্ট ইয়ারে স্যার কোন ক্লাশ পাননি, আর সেকেন্ড ইয়ারের পরীক্ষা তখনো শুরু হয়নি। তো স্যার সবাইকে বলল, "রকিব কে আমি তো তা চিনি না, তবে আমি মনে করি আমার সাথে আশিসের (স্যার) অনেক মিল আছে।" এই বলে ফারহান স্যার বক্সটি আশিস স্যারকে দিলেন। আশিস স্যার আসলেন, এবং তাকেও কি যেন একটা পারফর্ম করতে হয়েছিল। এরপর বক্সটি কার কাছে যাবে সেটার জন্য সূত্র ছিল অনেকটা এরকম, "আপনি কাকে CSEDU-র সিক্স প্যাক মনে করেন?" ... এই দফা কি পোলাপাইন আর ছাড়ে? তারা আগেরবারের ব্যার্থতা (ফারহান স্যারের সময় প্রথমবারে যে উদ্যোগ নিয়েছিল) ভুলে নতুন উদ্যোমে "রকিব ! রকিব !" বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। তো "আশিস স্যারের সাথে ফারহান স্যারের অনেক মিল", ফারহান স্যারের সেই দাবিকে সত্য প্রমানিত করার জন্যই হোক, আর ছেলেমেয়েদের চিল্লাচিল্লির জন্যই হোক, আশিস স্যার অনেকটাই ফারহান স্যারের মত করে বললেন, "দেখো, রকিবকে তো আমি চিনি না। তাও তোমরা যখন বলছ, রকিবই আসো তাইলে !"

পরলাম এক বিরাট ফাঁপরে ! আমি যতই পালাতে চাই পোলাপাইন আরো জোড় কইরা আমাকে সামনে আগাইয়া দেয় ! আমি জীবনে অনেক ধরনের মুসিবতে পরছি, এই ধরনের মুসিবতে আগে পরছি বলে মনে পরে না। একদল ছেলে-মেয়ে আর শ্রদ্ধেয় স্যার ম্যাডামের সামনে দুরু-দুরু বুকে সামনে গেলাম। কি করতে হবে আমাকে ? "দারদ দে ডিস্কো" নামের একখানা হিন্দি গানের সাথে আমাকে নাচতে হবে ! "OMG!" মানে "ও মা গো" ! ইহা কিভাবে সম্ভব ? আমি ইনফ্যাক্ট এই গানটি আগে শুনিও নাই, দেখা তো পরের কথা। কিন্তু তাও ... সবার অত্যাধিক আগ্রহকে অগ্রাহ্য করিতে না পারিয়া শেষ পর্যন্ত আমি শুরু করিলাম, যা শুরু করিয়াছিলাম সেটাই আছে এই ভিডিওটিতে। শ্রদ্ধেয় সকল স্যার ম্যাডামের সামনে ইহা আমি কি করিয়াছিলাম, সেটা ভাবতেই আজকেও আমার লজ্জা লাগছে ! কি আজব না ... সময় গুলি সব চলে গেল। কি মজার না ছিল সেই দিনগুলি ! :(

বিঃদ্রঃ ভিডিওটিতে অনেকে আমার মাথা নিচু করে থাকাটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারনে। কারো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, আমি কি তবে নাচতে নেমে ঘোমটা দিয়েছিলাম কিনা ... তাদের ভুলটা ভেঙ্গে দেই। আসলে আমার মাথা লঞ্চের ছাদে বাড়ি খেতে পারত। তাই মাথা নিচু করে নেচেছিলাম ! :P

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৩

অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষাগুলি

অনার্স লাইফের শেষ লিখিত পরীক্ষার পরে আমরা সবাই। দিন চলে যায় দিনের মত করে না ? এইতো সেদিন "কম্পিটার ফান্ডামেল্টাল" কোর্দের পরীক্ষাটা দিয়ে শুরু করেছিলাম যেই পরীক্ষা জীবন, সেটাই শেষ হয়ে গেল এখানে ! :(
অনার্স লাইফের ফাইনাল পরীক্ষার দিনগুলির কথা মনে পরলো আজকে। কত কত স্মৃতি রেখে আসলাম সেই কার্জন হলটাতে। ইংরেজরা কি পাপ করেছিল জানি না, কিন্তু তাদের পাপের বোঝা যে আমাদেরকে এভাবে বয়ে বেড়াতে হবে জানা ছিল না ... মানে ওরাই (ইংরেজরা) কার্জনহলটা বানিয়েছিল কিনা ! কার্জন হল তৈরি না হলে, আমাদের পরীক্ষাও দিতে হত না ... তাই না ?

ফার্ষ্ট ইয়ারে একটু নার্ড (বাংলায় আতেঁল শব্দটা শুনতে ক্যামন ক্যামন জানি লাগে) টাইপের ছিলাম। মনে আছে ফার্ষ্ট ইয়ারের প্রথম পরীক্ষাটা দিয়ে মন এতই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবারটাও খাই নাই, যদিও সেটাতে ৩.৭৫ পেয়ে গেছিলাম কিভাবে কিভাবে যেনো। সেই পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন এসেছিল এরকম, "একটি প্রিন্টারের কার্যপ্রনালী বর্ননা কর" ... কইত্তে কি দিছে, কমন পড়ে নাই। প্রিন্টারের কার্য-প্রনালীর কোন টেকনিকাল টার্মও জানতাম না। কি জানি হাভিজাভি জিনিস লিখে একটা ছবি এঁকেছিলাম অনেকটা এরকম, তিনটা বক্স আর তা ক্যাপশন ১) প্রিন্টারে কাগজ যাচ্ছে প্রিন্ট হওয়ার জন্য, ২) কাগজ প্রিন্টারের ভিতরে, প্রিন্ট হচ্ছে, ৩) প্রিন্ট শেষে কাগজ বের হয়ে চলে আসছে। :P

সেই শুরু চাপা-বাজীর। সব কি আর মনে থাকে, নাকি পড়ে পারা যায় ? থার্ড ইয়ারের পরীক্ষাতে একটু কম করছিলাম চাপাবাজী, ফলাফল বিপর্যয়ের মাধ্যমে আমাকে সেটার প্রায়াশ্চিত্ত করতে হয়েছিল। অনার্সের পরীক্ষার কথা বললেই আরেকটা ব্যাপার মনে আসে। এইটা কাকে বলে ওইটা ডিফাইন করো ... এই টাইপের প্রশ্ন ভার্সিটি লাইফে অনেক আসে। আমার একটা স্টার্টিং ছিল এই টাইপের প্রশ্নের জন্য, "ইট ইজ ভেরি হার্ড টু ডিফাইন 'ওইটা' ইন এ্যা ফিউ ওয়ার্ডস" :P

ফার্ষ্ট ইয়ারের কথা যখন উঠলোই, শুভর একটা কথা বলতেই হয় এখানে। আমাদের ডিজিটাল সিস্টেমসে একটা প্রশ্ন আসছে অনেকটা এরকম, তিন তলা একটা বিল্ডিং এর বিভিন্ন ফ্লোরের মধ্যে বিট প্যার্টার্ন রিলেশন বলে বলছে কিছু একটা করতে হবে। মানে, তিনটা ফ্লোরের প্রতিটাকে একটা করে বিট দিয়ে রিপ্রেজেন্ট করলে যেই আটটা প্যাটার্ন পাওয়া যায় সেটা আরকি। খুবই সহজ প্রশ্ন ছিল সেটা, যদিও শুভ ভুল করছিল। কারন, শুভ গ্রাউন্ড ফ্লোর ধরে কাজ করছিল ... ফলে তিনতলার বিল্ডিং চারতলা হয়ে গিয়েছিল। :P

এই পরীক্ষা নিয়ে মজার কথা বলে শেষ করতে পারবো না আসলে। মনে আছে আরাফাত স্যার প্রথম যেদিন হলে গার্ড দিতে এসেছিল, পিছনের জনের সাথে কথা বলার সময় ঘুরতে গিয়ে স্যারের পেটে কনুইয়ের গুঁতা মেরে দিয়েছিলাম। আমাদের আরেকজন শ্রদ্ধেয় স্যারের নাম আমরা দিয়েছিলাম, "পরীক্ষার হলের ম্যারাডোনা", কারন, কথা বললেই স্যার পোলাপাইনকে খালি এইজায়গা থেকে ওই যায়গায় পাঠাত। এখানে আমার একটা অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করি। জাভা পরীক্ষার দিন উত্তর পত্রে কিছু লিখবার আগেই সেই স্যার আমাকে উঠিয়ে দিছিলেন (জীবনে এই একবারই আমাকে পরীক্ষার হলে তোলা হয়েছিল) ... কারন আমি প্রশ্ন পেয়েই সামনের জনকে বলেছিলাম, "আরে, প্রশ্ন দেখি বেশি সোজা হইছে !" :P

ফোর্থ ইয়ারের একটা পরীক্ষার কথা স্মরণ করি। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পাওয়ার পর-পরই কথার একটা মৃদু হাওয়া বয়ে যায় সাধারনত। কে কোনটা দিয়ে শুরু করবে, কার কত সেট কমন পরছে ... এরকম আলোচনা হয়ে থাকে এই সময়টাতে। ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমস পরীক্ষার দিন প্রশ্ন পাওয়ার ২০ মিনিট পরেও দেখি হলের মধ্যে কোন সারা শব্দ নেই। সবাই দেখি মাথা নিচু করে প্রশ্ন পড়ছে। কথা বলবে কি, কেউ তো ঠিকই করতে পারছিল না কোনটা থেকে অ্যান্সার করা শুরু করবে। :P

পরীক্ষার হলে বিনোদনের প্রয়োজনের হলেই আমি সাধারনত যেটা করি, ক্লাশের কোন একটি মেয়ের দিকে তাকাই ... বিশেষ করে প্রিয়াঙ্কা অথবা পিঙ্কির দিকে। পরীক্ষার হলে এদের দেখলে নিজেকে অনেক তুচ্ছ মনে হয়, একই সাথে হাসিও পায়। এভাবে কোন মানুষ লিখতে পারে নাকি ? আরেকটা বিনোদন হইল, পিঙ্কি একবার লুজ বইলা চিল্লালেই একটা করে ফিচকা শয়তানী মার্কা হাসি দেওয়া।

অনেক মজার ঘটনা যেমন আছে, তেমনি অনেক মন খারাপের স্মৃতিও আছে এই পরীক্ষা নিয়ে। আজকের দিনে না হয় আমি শুধু সুখী সুখী কথাগুলোই মনে আনলাম, দুঃখগুলি জমায়ে রাখলাম আরেক দিনের জন্যি ! :)